বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক ভালো এবং এখানে চীনের ঋণ ফাঁদ বলে প্রমাণ হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বুধবার (২৬ অক্টোবর) ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত ডিক্যাব টকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের মাত্র ছয় শতাংশ চীন থেকে নেওয়া। অন্যদিক থেকে যদি বিবেচনা করি বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণ তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের ৩৬ শতাংশ যা অত্যন্ত ভালো।
যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওই দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন ২৪ ট্রিলিয়ন ডলার এবং তাদের ঋণ হচ্ছে ৩১ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি যদি আমরা বিবেচনায় নেই তাহলে দেখবো বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
আমি ভারতকে পছন্দ করি
চীন ও ভারতের মধ্যে কোনও কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই এবং বেইজিং মনে করে যদি দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করে, পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি ভারতের একজন বড় ফ্যান। চীনের শিক্ষিত জনগোষ্ঠির বড় অংশ ভারত বিষয়ে ইতিবাচক ধারনা পোষণ করে। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনও কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। তারা আমাদের কৌশলগত প্রতিযোগী নয়।
রোহিঙ্গা অবস্থান
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য চীনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমস্যাটি সমাধান করা উচিৎ। এটি কোনোভাবেই আন্তর্জাতিকীকরণ করা ঠিক হবে না।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার আন্তরিক জানিয়ে তিনি বলেন, রাখাইনের পরিবেশ সহায়ক নয়। সেখানকার পরিবেশ ভালো হলে প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করি।