তখনও রানের খানের খাতা খুলেনি নেদারল্যান্ডস। বল হাতে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসকে বড় ধাক্কা দিলেন তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশের পুঁজিটা খুব বেশি বড় নয়। এমন পুঁজি নিয়ে শুরুটা যেমন হওয়া দরকার ছিল, তাসকিন আহমেদ ঠিক তেমনই এক সূচনা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে।
ইনিংসের প্রথম বলে তাসকিন তুলে নেন বিক্রমজিৎ সিংকে। বলটা করিডোর অফ আন্সার্টেইন্টিতে করেছিলেন তিনি। তাতেই খোঁচা মেরে দিয়েছেন ডাচ ওপেনার। বলটা চলে যায় দুই স্লিপের প্রথমজনের কাছে। সামনে ঝুঁকে দারুণ এক ক্যাচ নেন ইয়াসির আলী।
উইকেটে একটু মুভমেন্ট আছে, তা প্রথম ইনিংসেই দেখা গেছে বেশ। তার ফায়দা লুটতেই দুই স্লিপ নিয়ে ফিল্ডিং শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেটাই কাজে দিল প্রথম বলে।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুই অপেনার ভালো শুরু করলেও ‘বড়’ পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ। ইনিংস শেষে ছোট পুঁজির সংগ্রহে নেদারল্যান্ডসকে ১৪৫ রানের টার্গেট দেয় সাকিব-লিটনের দলটি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টস হেরেছেন অধিনায়ক সাকিব। ডাচ অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস বেছে নেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪৪ রান। দলের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে কেবল রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আফিফ হোসেন। শান্ত ২৫ এবং আফিফ করেছেন ৩৮ রান।
সাকিব আল হাসান, লিটন দাস কিংবা ওপেনার সৌম্য সরকার কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। শুরুতে বড় রানের আভাস দিলেও সৌম্য আউট হওয়ার পরেই শুরু হয় টাইগারদের ব্যাটিং ধ্বস। মিডল অর্ডারে দ্রুত ফিরেছেন ইয়াসির রাব্বি।
নুরুল হাসান সোহান থিতু হওয়ার পরও করেছেন ১৩ রান। তবে শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের চেষ্টায় সম্মানজনক স্কোর দাঁড়ায় করায় টাইগাররা। ১২ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ২০ রান। তাতেই সম্মানজনক এক পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৪৪/৮ (আফিফ ৩৮, শান্ত ২৫, মোসাদ্দেক ২০*; ফন মিকারেন ২/২০, ডি লিড ২/২৯)