সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম একটি উৎসব দীপাবলি। দিনটিতে আতশবাজি ফুটিয়ে বিশেষ আনন্দে মেতে ওঠেন এ সম্প্রদায়ের মানুষজন। কিন্তু এবার আসন্ন দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি সরকার।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই এক ঘোষণায় বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হবে। সেই সঙ্গে জরিমানা করা হবে ২৫৫ টাকা।
এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) গোপাল রাই অন্য এক ঘোষণায় বলেন, কেউ আতশবাজি মজুত বা বিক্রি করলে তাকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া হবে।
গত সেপ্টেম্বরে, দিল্লি সরকার আগামী বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের পটকা উৎপাদন, বিক্রয় এবং ব্যবহারের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গোপাল রাই আরও জানান, সরকার নিয়ম বাস্তবায়নের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা এবং দূষণ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৪০৮টি দল গঠন করেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শহর জুড়ে ২ হাজার ২শ’ কেজিরও বেশি আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে দিল্লি সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞাকে ‘হিন্দুবিরোধী’ বলেও অভিহিত করেছেন অনেকে। অনেক হিন্দু যুক্তি দিয়েছিলেন যে পটকা নিষিদ্ধ করা বৈষম্যমূলক। বেশ কিছু সেলিব্রিটি, যারা ক্র্যাকার বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে গোপাল রাই বলছেন, বায়ুদূষণের জন্য ভারতের রাজধানীর আবহাওয়া দীপাবলিকে ঘিরে আরও দূষিত যেন না হয়, সে জন্যই এই কঠোর পদক্ষেপ। আতশবাজি ও পটকা ফুটানোর কারণে সৃষ্ট দূষণ এড়াতে যেকোনো ধরনের বাজি ফুটানোকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। বিবিসি বলছে, দিল্লিতে পটকা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ পরিবেশ রক্ষার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ। বর্তমানে দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী। গত বছরগুলোতে দীপাবলির পরদিন দিল্লিতে ধোঁয়ায় ছেয়ে যেতে দেখা গেছে।
সূত্র: বিবিসি