সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালন করা হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে স্থাপিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি। সিকৃবির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, অফিসার পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরবর্তীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করা হয়। এছাড়া বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে অফিসার পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. সালাহ্ উদ্দীন আহম্মদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তব্য দেন অফিসার পরিষদের সভাপতি মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল ছোট বয়সেই মানবিক, নেতৃত্বসুলভ আচরণ, পরোপকারী গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। বেঁচে থাকলে আজকের ৫৮ বছরের মানুষটিও হতেন এক অনন্য গুণাবলির ব্যক্তিত্ব। দেশের শত্রুরা ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ও নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে শিশু রাসেলকেও হত্যা করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার চিহ্নটুকুও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাদের ওই ঘৃণ্য অপচেষ্টা যে শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে, এটি আজ প্রমাণিত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাথে শেখ রাসেলও বেঁচে থাকবে অনির্বাণ ভালোবাসা হয়ে।