সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে সিলেট মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শাহ আলম গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ১১টায় শাহ আলম গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দুপুর সাড়ে ১২টায় কবিতা-ছড়া ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং বেলা ২টায় এতিম ও পথশিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ।
কর্মসূচির শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি বলেন, আজ হয়তো শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর মতোই বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেন, বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা হতেন। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো তার কর্মের দ্বারা বাঙালি জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বল অবদান রাখতেন। কারণ সেই শিশু বয়সে তার ব্যক্তিত্বের মাধ্যমেই তা প্রকাশ করেছিলেন। রাসেলের মধ্যে খুব ছোটবেলাতেই দেখা গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর মতোই মানবিক বোধ। সব মানুষসহ পশু-পাখিদের জন্যও ছিল তার অগাধ ভালোবাসা। সবার কাছে যেতেন, সবার সাথে মিশতেন, বাড়িতে কাজের লোকসহ সবাইকে খুব সম্মান করতেন।
সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার বলেন, শেখ রাসেল বাঙালি জাতির কাছে এক যুগোত্তীর্ণ ব্যক্তিত্ব। বাঙালি জাতি তার মধ্যে খুঁজে পায় রূপকথার মতো নিজেদের ছেলেবেলাকে। শেখ রাসেলের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে আপামর বাঙালির শৈশব। অন্যদিকে তার নির্মম মৃত্যুর কাহিনী বারবার মনে করিয়ে দেয় আমাদের দেশের করুণ ইতিহাসের কথা। শেখ রাসেল চির অমর হয়ে থাকবেন আমাদের মাঝে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রব সায়েম, ইসমাঈল গনি হিমন, ফয়ছল আজাদ খান, রুহুল আমিন, আজাদ উদ্দিন, শওকত হোসেন মানিক, আমিনুল ইসলাম আমিন, আল মোমিন, আব্দুল কাদির ইমন, রায়হান আহমদ, সুমন চৌধুরী, জনি আচার্য্য, এন্ডু বিশ্বাস পাপ্পুসহ মহানগর যুবলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।