হবিগঞ্জের বাহুবলের সাতগাঁও এলাকায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিলয় আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটায় বাহুবলের সাতগাঁও এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নিলয় আহমেদ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশার মফিজুল ইসলামের পুত্র। তবে মফিজুল ইসলাম স্ত্রী সন্তানাদি সহ দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভার কাট বাজার সংলগ্ন একটি বাসায় বসবাস করে আসছেন এবং নিলয় আহমেদ আজমিরীগঞ্জ এ্যামালগেমেটেড বীর চরণ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে ২০২২ সালের অনুষ্টিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
পুলিশ ও নিলয়ের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় শনিবার সকালে নিলয় এবং তিন বন্ধু মিলে দুটি বাইকে করে ঘুরতে গিয়েছিলেন চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে। কিন্তু বিকালে ফেরার সময় বাহুবলের সাতগাঁও এলাকায় পৌঁছালে টার্নিং পয়েন্টে রেলিংয়ের সাথে মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগলে গুরুতর আহত হয় নিলয় এবং তার বন্ধু সোহেল।
স্থানীয়রা নিলয় এবং সোহেলকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে নিলয়ের অবস্থার অবনতি ঘঠে। তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরণ করেন। সিলেট রওনা দেওয়ার পর রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় মৌলভীবাজারের শেরপুর পৌঁছানর পর নিলয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
নিলয়ের বন্ধু মোবারক বলেন- ‘আমরা অন্য বাইকে ছিলাম। নিলয় এবং সোহেল এক বাইকে ছিলো আমরা এসে দেখি এরা পড়ে আছে। সোহেল শুধু আমাদের বলেছে যে কিসের সাথে জানি সাথে ধাক্কা খেয়েছে। তারপর সোহেল অজ্ঞান হয়ে যায়। সোহেলের অবস্থাও আশংকাজনক।
এ বিষয়ে নিলয়ের মামাতো ভাই রুজেল আহমেদ বলেন- ‘মোবারক আমাকে কল দিয়ে জানায় নিলয় একসিডেন্ট করেছে বাহুবল। তারা নিলয়কে নিয়ে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে আসতেছে। তখন আমি সদর হাসপাতালে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে সিলেট এমএ জি উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।’
বাহুবল থানার উপ-পরিদর্শক সমীরণ দাশ বলেন- ‘বিকালে আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাত আটটার দিকে আমাদের জানানো হয় নিলয় আহমেদ মারা গেছেন।’
এ দিকে নিলয়ের মৃত্যু সংবাদে তার পরিবার এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।