খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ধসের ঘটনায় উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। শনিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত চলে উদ্ধার অভিযান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই শ্রমিক মারা গেছেন এবং পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে মৃত দুই শ্রমিকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে আহতদের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহনেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে চেয়ারম্যান গভীর শোক প্রকাশ করে নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকাল আনুমানিক পৌনে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে নতুন করে ছাদের একটি অংশে কাজ করার সময় ধসে পড়লে ছাদের উপরে এবং নিচে থাকা বেশ কয়েকজন শ্রমিক চাপা পড়ে। পরে সেনা সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক, খাগড়াছড়ি ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশন ও খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে মৃত এবং পাঁচ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মৃত একজন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সবুজবাগ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (২২), আর অন্যজন হচ্ছেন বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কালিগাতি এলাকার সোহরাব শিকদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)। দুই জনই সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
অন্যদিকে, আহতরা হচ্ছেন সদর উপজেলার শালবন এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে মো. রোকন (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে হানিফ মিয়া (২৫), মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল (২০), থলিপাড়ার এলাকার লালু চান মিয়ার ছেলে মো. হাসান (২৪) এবং মাটিরাঙার আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ (২০)।