সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে নিজ নিজ ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিভিন্ন স্তরে সাজানো হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্সের হলরুমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সিলেট জেলাধীন সকল সার্কেল ও থানার ওসিদের পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ সুপার।
তিনি পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দকে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে জরুরি মুহূর্তে জেনারেটর রাখা, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন, নারী-পুরুষ আলাদা সারিতে প্রবেশ ও প্রস্থানের ব্যবস্থা করা, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে আজান ও নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখা, সম্ভব হলে সিসিটিভি স্থাপন করা, প্রতিটি মণ্ডপে আগুন নিয়ন্ত্রক সিলিন্ডার রাখাসহ বিভিন্ন দিকনিদের্শনা প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার নিশ্চিত করেন যে, কোনো ধরণের দুর্ঘটনা বা অঘটনের সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে সিলেট জেলা পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাহরিয়ার বিন সালেহ’র সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান, নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম, গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিত্রান তালুকদারসহ সিলেট জেলার সকল থানার ওসি, সিলেট জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুব্রত দেব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এবার সিলেট জেলার ১১টি উপজেলার ৪৬০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।