মিয়ানমার সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি দূতদের অবহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মিশনপ্রধানদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. খোরশেদ আলম। এর আগে সোমবার আসিয়ান দেশগুলোকে ব্রিফ করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।
মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি ৫ বছর হয়ে গেছে। এ সময় একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমার ফেরত নেয়নি। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করছি। কিন্তু আমরা এমন কিছু করিনি যে, মিয়ানমারের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়বে এবং নিরাপত্তা ব্যাহত করবে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে ফেলবে। কাজেই মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনীকে বিষয়টি বুঝতে হবে।’
বাংলাদেশের ধৈর্যে এবং মিয়ানমাররে উসকানিতে পা না দেওয়ার জন্য বিদেশি প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের রাজধানীতে বিষয়গুলো জানাবেন, যাতে করে ভবিষ্যতে কোনও কিছু করণীয় থাকে এবং জাতিসংঘে কিছু করণীয় থাকে। সে ব্যাপারে আমাদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা বলে জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।
খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি যে, আমরা সাহায্য চাই— যাতে করে মিয়ানমার এ অঞ্চলে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভবিষ্যতে ফায়দা লুটতে না পারে।’
আমাদেরকে এই সংঘাতে জড়ানোর যে প্রচেষ্টা— সেটিতে বাংলাদেশ জড়াবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সব স্তরেই মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, যাতে করে মিয়ানমার বুঝতে পারে— একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তাদের জন্যও বিপজ্জনক।’