এডিস মশার উৎস অনুসন্ধান ও এর বংশবৃদ্ধি রোধকল্পে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এসময় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে পাওয়া গেছে এডিস মশার লার্ভা।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভার্থখলা এলাকায় এডিস মশার লার্ভার উৎস অনুসন্ধান ও নিধনে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান খান এ অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম ও সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীট ত্বথ্যবিদ মো. নজরুল ইসলাম।
অভিযানে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকার কয়েছ অ্যান্ড ব্রাদার্স, ধর স্যানেটারি, নাজমুল অ্যান্ড ব্রাদার্স, মেসার্স খালেদ অ্যান্ড ব্রাদার্স ও একটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উৎস পাওয়া যায় এবং ওইসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের জরিমানা করা হয় মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এদিকে, বাসা-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এডিস মশা জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। তাই বাড়ির খোলা জায়গা, নারকেলের খোসা, ফুলের টব, বাসার ছাদ, পরিত্যক্ত ভবন কিংবা নির্মাণাধীন ভবনে যেন পানি জমে না থাকে সেজন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র বলেন, এসব স্থানে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিশ মশা সহজেই বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে নগরীতে। তাই এডিস মশার উৎস অনুসন্ধান ও এর বংশবৃদ্ধি রোধকল্পে সিসিকের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।