এশিয়া কাপের সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের পথে শ্রীলঙ্কা। ভারতের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ দশমিক ৫ ওভারে পেরিয়ে যায় দাসুন শানাকার দল। এ হারে এশিয়া কাপ থেকে এক প্রকার ছিটকে গেল ভারত।
আজ মঙ্গলবার রাতের এ ম্যাচে মাঝারি লক্ষ্যমাত্রার পরেও লঙ্কান দুই ওপেনার এদিন ভারতীয় বোলারদের ওপর টর্নেডো চালান। তবে পাথুম নিশাঙ্কা ৫২ এবং কুশল মেন্ডিস ৫৭ করে ফিরে যাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় টপ অর্ডার। এর পরের গল্পটা লঙ্কানদের।
রাজাপাকসেকে সঙ্গে নিয়ে দলের অধিনায়ক শানাকা লড়ে যান ভারতীয় বোলারদের সঙ্গে। দলের জয় নিশ্চিত করার পর মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটার। রাজাপাকসে ১৭ বলে ২৫ করে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া, দাসুন শানাকা ১৮ বলে ৩৩ রান করেন।
চলতি এশিয়া কাপে হংকংয়ের দুই ম্যাচ বাদে সব ম্যাচেই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। ফলে টসটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ টুর্নামেন্টে। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা টসে হেরেছেন এ মহা-গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। শ্রীলঙ্কা অনুমিতভাবেই নিয়েছে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত।
শেষ দিকে শিশির পড়ে মাঠে, যে কারণে বোলারদের গ্রিপে সমস্যা হয় বেশ। উইকেটটাও আরও একটু ব্যাটিং-বান্ধব হয়ে যায়, সে কারণেই শুরুতে ব্যাট করা দলের জন্য ম্যাচে জেতা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সমস্যা এড়াতে ভারতের দরকার ছিল বিশাল একটা পুঁজি, তার জন্য শুরুটা দারুণই হতে হতো তাদের।
সেটা হয়নি। মাহিশ থিকসানার বলে লোকেশ রাহুলের এলবিডব্লিউ হওয়া থেকে শুরু। এরপর বিরাট কোহলিও ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। ১৩ রানে দুই উইকেট খুইয়ে ভারত প্রমাদ গুনছিল বড় বিপর্যয়ের। তবে রোহিত শর্মা আর সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি দলটি। দুজন ভারতকে পাওয়ারপ্লেতে এনে দিয়েছেন ৪৪ রান। এরপর ১২ ওভারে দলের রান ছুঁয়েছে ১১০ রান। ছিল বড় রানের কক্ষপথেও!
তবে ফিফটি করা রোহিত ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে যখন ফিরলেন ইনিংসের ১৩তম ওভারে, এরপর থেকেই যেন ভারত ছিটকে যেতে শুরু করল সেই কক্ষপথ থেকে। উইকেট খোয়াল নিয়মিত বিরতিতে। সূর্যকুমারের পর আর কেউ ২০ রানের ইনিংসও খেলতে পারলেন না। তাতে ভারতের পুঁজিটা ১৮০ আর পেরোল না, থামল ‘মাত্র’ ১৭৩ রানেই।
‘মাত্রই’ বটে! আগের ম্যাচে ভারত পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ১৮২ রানের। সেটা পাকিস্তান পেরিয়ে গিয়েছিল ৫ উইকেট হাতে রেখেই। আজ ভারত করেছে ১৭৩ রান, এই রানের বেশি করে চলতি এশিয়া কাপেই হারের নজির আছে আরও দুটো! তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের পুঁজিটা একটু কমই হয়ে গিয়েছিল।