শুরুর কঠিন ধাক্কা সামলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। হারলেই চলে যেতে হবে খাদের কিনারায়। এমন সমীকরণ সামনে রেখে ভারতের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। মহাগুরুত্বপূর্ণ টসে তো হেরেছেই, সেটা পুষিয়ে দিতে হতো ব্যাটিং দিয়ে। সেটাও হলো কই?
চলতি এশিয়া কাপে হংকংয়ের দুই ম্যাচ বাদে সব ম্যাচেই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। ফলে টসটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই টুর্নামেন্টে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা টসে হেরেছেন এই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। শ্রীলঙ্কা অনুমিতভাবেই নিয়েছে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত।
শেষ দিকে শিশির পড়ে মাঠে, যে কারণে বোলারদের গ্রিপে সমস্যা হয় বেশ। উইকেটটাও আরও একটু ব্যাটিং-বান্ধব হয়ে যায়, সে কারণেই শুরুতে ব্যাট করা দলের জন্য ম্যাচে জেতা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সমস্যাটা জয় করতে হলে ভারতের দরকার ছিল বিশাল একটা পুঁজি, তার জন্য শুরুটা দারুণই হতে হতো তাদের।
সেটা হয়নি। মাহিশ থিকসানার বলে লোকেশ রাহুলের এলবিডব্লিউ হওয়া থেকে শুরু। এরপর বিরাট কোহলিও ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। ১৩ রানে দুই উইকেট খুইয়ে ভারত প্রমাদ গুণছিল বড় বিপর্যয়ের। তবে রোহিত শর্মা আর সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে সে বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি দলটি। দু’জন ভারতকে পাওয়ারপ্লেতে এনে দিয়েছেন ৪৪ রান। এরপর ১২ ওভারে দলের রান ছুঁয়েছে ১১০ রান। ছিল বড় রানের কক্ষপথেও!
তবে ফিফটি করা রোহিত ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে যখন ফিরলেন ইনিংসের ১৩তম ওভারে, এরপর থেকেই যেন ভারত ছিটকে যেতে শুরু করল সেই কক্ষপথ থেকে। উইকেট খোয়াল নিয়মিত বিরতিতে। সূর্যকুমারের পর আর কেউ ২০ রানের ইনিংসও খেলতে পারলেন না। তাতে ভারতের পুঁজিটা ১৮০ আর পেরোলো না, থামল ‘মাত্র’ ১৭৩ রানেই।
‘মাত্রই’ বটে! আগের ম্যাচে ভারত পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ১৮২ রানের। সেটা পাকিস্তান পেরিয়ে গিয়েছিল ৫ উইকেট হাতে রেখেই। আজ ভারত করেছে ১৭৩ রান, এই রানের বেশি করে চলতি এশিয়া কাপেই হারের নজির আছে আরও দুটো! তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের পুঁজিটা একটু কম হয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছে বৈকি!