সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু হওয়ার কথা, প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সদ্য জনতার আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে পুলিশকে ব্যবহার করে পাখির মত গুলি করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা নতুন কিছু নয়, এর আগেও তারা ভোলায় একই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগ আজ পুলিশ বাহিনীকে জনগণের প্রতিপক্ষ করার চেষ্টা করছে। আমরা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নই, আমরা কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমার ট্যাক্সের পয়সায় তাদের বেতন হয়, তাদের সংসার চলে, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া শিখে, তাদের বউ-বাচ্চাদের কাপড় দেয়-তাই না। তারা আমাদের লোকজনকে গুলি করে মেরে ফেলতে এটা কি আমরা মেনে নেবো?
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের গুলিতে যুবদল নেতা শাওন হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট নগরীর ক্বীন ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্তে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে দক্ষিণ সুরমার মরকাজ পয়েন্ট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে সমাবেশে স্থলে এসে শেষ হয়।
তিনি আরো বলেন, গুলি চালিয়ে ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। জনতার শক্তি অপ্রতিরোধ্য। আন্দোলনে গণ জোয়ার সৃষ্টি হয়েছ। এই গণ জোয়ারে সরকার ভেসে যাবে ইনশাআল্লাহ । বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনকে যারা রক্তস্নাত করেছে ,তাদের বিচার হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা ফালাকুজ্জামান চৌধুরী জগলু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, পুলিশকে আমরা কখনো প্রতিপক্ষ বানাতে চাই না। আপনারা দয়া করে জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না। যুক্তরাষ্ট্র একটা প্রতিষ্ঠান র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আপনারা কি চান পুলিশের ওপর এভাবে সেনশন আসুক, আপনারা কি চান এই বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের ওপর সেনশন জারি করুক?
তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের যে ন্যায্য অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার সেজন্য তারা সহযোগিতা করবে। যারা অন্যায় করছে, অবিচার করছে, যারা গুলি করে হত্যা করছে, যারা জোর করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর মতো জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে, লড়াই শুরু করেছে, সেই লড়াইয়ে এখন দেশের সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছে। ইনশাআল্লাহ এই লড়াইয়ে জনতার বিজয় হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট হাসান পাটওয়ারী রিপন, মাহবুবুল হক চৌধুরী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আজিজুর রহমান আজিজ, কামাল হাসান জুয়েল, লোকমান আহমদ, হাজী দিনার, ফজলে রাব্বি আহসান, ইউসুফ আলী, আজমল আলী, মোস্তফা কামাল, আক্তার হোসেন রাজু, এডভোকেট মোস্তাক, অর্জুন ঘোষ, মাহবুব আলম, আব্দুল হাই মাসুক, ডা. এনামুল হক, আব্দুল মুনিম ছইল, আশরাফুল আলম বাহার, আব্দুল মালিক মল্লিক, মো. গুলজার, মনিরুল ইসলাম তুরণ, আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতা, সুহেল ইবনে রাজা, মইনুল ইসলাম মঞ্জু, ওবায়দুর রহমান ফাহমি, দেলোয়ার হোসেন নাদিম, মোবারক হোসেন, হারুনুর রশীদ, গোলাম কুদ্দুস কামরুল, সুলেমান সিদ্দিকী, তওফিক মো. উজায়েল সুহেল, ফয়জুর রহমান বিলাল, বাবর আহমদ রনি, মকসুদুল করিম নুহেল, শাহ আব্দুল মুকিত, সাদেক আহমেদ, শামীম আহমদ, আব্দুল মজিদ, পাবেল রহমান, আজহার আলী অনিক, দেলোয়ার হোসেন, সোনাহর আলী সুহেল, মিজানুর রহমান, নুরুল আমিন, আব্দুল মনিম, আনোয়ারুল ইসলাম, আল মামুন, রায়হানুল হক, শামিমুর রহমান শামিম, ওলিউর রহমান ওলি, শাহ টিপু সুলতান, আসাদ মিয়া রুকন, আব্দুস শহিদ হিরন, মো. আশিক, মাওলানা জিল্লুর রহমান, আশরাফ উদ্দিন আলীম, জয়নাল আবেদীন, শফিক মিয়া, শফি আহমদ খাঁন, আবু সালেহ, জুয়েল আহমদ, রাজ খাঁন ইমন, নাছিম আহমেদ, রাসেল আহমদ, আখতার হোসেন প্রমুখ।