হবিগঞ্জের চা শ্রমিকদের ভরসা এখন প্রধানমন্ত্রী

আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) টানা আন্দোলনের ১৯তম দিন। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে এখন পর্যন্ত অনড় রয়েছেন হবিগঞ্জের ২৪টি চা-বাগানের শ্রমিকরা। তবে যেহেতু বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের নিয়ে বসবেন, তাই ওই বৈঠকেই বিষয়টির সমাধান হবে বলে আশা করছেন চা শ্রমিকরা। এদিকে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তাদের সন্তানরাও।

চা শ্রমিকরা জানান, এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির বাজারে ১২০ টাকায় কিছুই হয় না তাদের। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে ৪০ টাকা ভাড়া চলে যায়। বাকি ৮০ টাকায় খাবার হয় না। তবে এখন যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের নিয়ে বসছেন, তাই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী।

দাড়াগাঁও বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি প্রেমলাল আহির বলেন, আজ যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন, আশা করছি আমাদের দাবির বিষয়টি সমাধান হবে। এটি নিয়ে যেন বাড়াবাড়ি না হয়।

জানা গেছে, দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ৪ দিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন তারা। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। ইতোমধ্যে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। গত শনিবারের বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে চা শ্রমিক নেতারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে শ্রমিকরা এ মজুরি মানেন না জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন। কয়েক দফা বৈঠকের পর গত সোমবার তাদের একাংশ কাজে যোগ দিলেও মঙ্গলবার ফের তারা আন্দোলন শুরু করেন।

জানা গেছে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার বিকেলে বাগান মালিকদের সাথে বৈঠকে বসবেন।