কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত

সিলেটের কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন বিষয়ে ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারকের পাঠ্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত ও বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের ৩৮তম বৈঠকে এ বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক।

এসময় উভয় পক্ষই এই বিষয়ে অক্টোবর ২০১৯-এর ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা স্মারক অনুসারে ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে ফেনী নদীর উপর জল গ্রহণের স্থানের নকশা এবং অবস্থানের চূড়ান্তকরণকে স্বাগত জানায়।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন পানিসম্পদ বিভাগের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। এছাড়া ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, জলশক্তি মন্ত্রী।

বৈঠকটি ১২ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানের পরে হওয়ায় এটি দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ গুরুত্ব বহন করছিল। যদিও আজকের বৈঠকের আগে ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে অভিন্ন/সীমান্ত/আন্তঃসীমান্ত নদীতে পারস্পরিক স্বার্থের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া হিসাবে।

এর আলোকে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বন্যার তথ্য আদান-প্রদান, নদী দূষণ মোকাবেলা, পলি ব্যবস্থাপনার উপর যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা, নদী তীর রক্ষার কাজ ইত্যাদি সহ পারস্পরিক স্বার্থের চলমান বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের পাঠ্য চূড়ান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন : ভারতের সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে দুটি চুক্তিস্বাক্ষর

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ৫৪টি। যার মধ্যে ৭টি নদী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পানি বণ্টন চুক্তির কাঠামো উন্নয়নের জন্য আগে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৈঠকে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য আরও ৮টি নদী অন্তর্ভুক্ত করে চলমান সহযোগিতার এই ক্ষেত্রকে আরও প্রশস্ত করতে সম্মত হয়েছে। বিষয়টি জেআরসি-এর কারিগরি স্তরের কমিটিতে আরও আলোচনা করা হবে।