খানা-খন্দে ভরা সড়ক, প্রতিবাদে রাস্তায় গড়াগড়ি

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বড়সড় গর্ত ও খানা-খন্দে ভরা এই রাস্তায় রয়েছে ভয়ংকর দুর্ঘটনার ঝুঁকি। তবুও ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। এই পরিস্থিতিতে অভিনব প্রতিবাদ করলেন এক সমাজকর্মী। বেহাল সড়কের প্রতিবাদে রাস্তায় শুয়ে গড়াগড়ি খেলেন তিনি।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এদিকে ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, অভিনব প্রতিবাদে খবরের শিরোনাম হওয়া ওই সমাজকর্মীর নাম নিত্যানন্দ ওলাকাদু। বুধবার কর্ণাটকের উদুপি-মনিপাল জাতীয় সড়কে অভিনব প্রতিবাদ দেখান তিনি।

নিত্যানন্দের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি বিপজ্জনক ছোট-বড় গর্তে ভরে গেছে। যদিও রাস্তা মেরামতের কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না প্রশাসন। নিত্যানন্দের দাবি, তিন বছর আগে রাস্তা মেরামতের কাজের টেন্ডার হলেও আজ পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে কাজ শুরু হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে অভিনব এই প্রতিবাদ করেছেন তিনি।

নিত্যানন্দ আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘বড়সড় গর্ত ও খানা-খন্দে ভরা এই রাস্তা মেরামতের বিষয়টিকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অথচ হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।’

কটাক্ষের সুরে এই সমাজকর্মী বলেন, ‘সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অথবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি এই রাস্তা ব্যবহার করলে তবে এটি মেরামতের ব্যবস্থা হতে পারে।’

অবশ্য প্রতিবাদী এই সমাজকর্মীর পাশেই দাঁড়াচ্ছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, মোদি এলেও রাস্তা সারানো হবে না। একমাত্র বড় দুর্ঘটনা ঘটলে, বেশ কয়েকজন মানুষ মরলেই এই রাস্তা মেরামত করা হতে পারে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত মাসে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সড়কে থাকা গর্তের কারণে দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৬২৬ জন মারা গেছেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে গর্তের কারণে হওয়া এসব সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ২ হাজার ১৫, ২ হাজার ১৪০ এবং ১ হাজার ৪৭১ জন।