৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের চলমান অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের অষ্টম দিন আজ (শনিবার)। গত আট দিনে সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেও মজুরি নিয়ে কোনো সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকায় সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছেন।
ধর্মঘটের অষ্টম দিনে ফের চা শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে সরকার। শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে এ সভা শুরু হয়েছে।
বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম দুপুরে বলেন, চলমান শ্রমিক ধর্মঘট নিরসনে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য এসেছেন। সভায় মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানসহ হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এসেছেন। সেখানে আলোচনার জন্য আমাদের ডাকা হয়েছে। আমরা সব নেতা সেখানে যাচ্ছি। আজ ধর্মঘটের অষ্টম দিন। বাগানে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমরা মানসম্মত মজুরি না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এদিকে আন্দোলনের ১২তম ও ধর্মঘটের ৮ম দিনে দাবি আদায়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন শ্রমিকেরা। চা–বাগানের কাজ বন্ধ রেখে দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাঁদের।
চা-শ্রমিক দুলাল হাজরা বলেন, আমাদের আন্দোলন চলছে। প্রতিদিন পত্রিকা ও টেলিভিশনে সংবাদ হচ্ছে। আমাদের দুঃখগুলো দেখানো হচ্ছে। আমাদের দাবির বিষয়ে বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এছাড়া আমাদের অধিকার আদায় হবে না।
দুলাল হাজরা জানান, তাঁরা অনেক কষ্ট করে চলছেন। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাঁরাও চান না আন্দোলন করতে। ন্যায্য মজুরি পেলে দ্রুত কাজে যোগ দেবেন।