জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ৩০৪ রান।
হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৫ আগস্ট) সোয়া ১টায় শুরু হয় দু’দলের ম্যাচটি।
ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুতে সাবধানী শুরু করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ফেরেন টাইগার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
৫৭ রান করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৮ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান তামিম। তারপর আর ৫ রান যোগ করতেই রাজার শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ব্যাকফুটে গিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে। ৮৮ বলে ৯ চারে ৬২ রান করেন তামিম। ১১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ভেঙে যায় শতরানের জুটি।
এরপর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন এনামুল। ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পেশিতে টান পড়ে লিটনের। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন ৮৯ বলে ৮১ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৯টি আর ছয়ের মার ১টি। ৭৫ বলে ফিফটির পর লিটন খেলতে থাকেন দারুণ। মাত্র ১৪ বলে ৩১ রান করেন। কিন্তু চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হলো সেঞ্চুরি থেকে ১৯ রান দূরে থেকে।
৭১ রানে জীবন পান এনামুল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। আউট হলেন ২ রান পরেই, ৭৩ করে। উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন মুসাকান্দার হাতে। ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৬২ বলে ৭২ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ৪৭ বলে।
এরপর মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিকুর রহিম ২৫ বলে ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে তিনশ পার করে দেন। মুশফিক ৪৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে। ১২ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।