উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে টিলা ধ্বসে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে অনেক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এমন বাস্তবতায় উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনও হয়েছেন ভয়াবহ টিলা ধ্বসের শিকার। ২য় ধাপে পাশের বাড়ির টিলা ধ্বসে তার ঘরের দেয়াল ভেঙে ঘরে মাটি প্রবেশ করে। এতে ঘরের ভিতরে থাকা ফার্ণিচার তছনছ হয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, ঘরের পাশে উঁচু টিলা। ঘরের দেয়াল ভেঙে ঘরের ভিতরে মাটি প্রবেশ করে। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলেও এখনো ঘরের ভেতর থেকে মাটি সরাতে পারেননি তিনি।
আলতাব হোসেন বলেন- ‘প্রায় দেড় মাস হয়েছে পাশের বাড়ির টিলা ধ্বসে ২ ধাপে আমার ঘরের উপর পড়ে। এতে করে ঘরের দেয়াল ভেঙে গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার, ঘরের ফার্ণিচার সবকিছু মাটির চাপে ভেঙে যায়। যে কারণে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি বলেন- ‘যার বাড়ির টিলা ধ্বসে আমার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার কাছে বার বার যাওয়ার পরও কোন প্রতিকার মিলেনি। দেড় মাস হয়ে গেলেও তিনি একবারও এসে দেখেননি। এখনো আমার ঘরে মাটি আছে। আমার একার দ্বারা মাটি সরানো সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এসে দেখে গেছেন। তবে কোন সহায়তার আশ্বাস তারা আমাকে দেননি। আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। পরিবার চালানোই দ্বায় হয়ে পড়েছে। বর্তমানে আমার যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি আমি কিভাবে পুষিয়ে উঠব। আমাকে সরকারি ভাবে সহায়তার জন্য অনুরোধ করছি। সেই সাথে সমাজের বিত্তবানদের আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মান্নানের মুঠোফোনে কল ও ওয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।