সিলেটের বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল বাছিত (২৫) হত্যার প্রায় ৪মাসে ২আসামী ধরে আর বাকিদের ধরছেনা পুলিশ। বাকি আসামীদের চার্জশিট থেকে বাদ দিতেও পায়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি বাদীর পরিবারকে আসামীরা নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবারবর্গ, বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ।
শনিবার (৩০জুলাই) দুপুরে পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ বুরহান আহমদ রুবেল।
এরআগে কান্নাজড়িত কন্ঠে বিস্তারিত তুলে ধরেন নিহত বাছিতের মা আনোয়ারা খাতুন।
এসময় তিনি বলেন, উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের টেংরা টিলাপাড়া গ্রামের মৃত নামর আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২৭), তোরণ মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২৫), মৃত তছলিম মিয়ার ছেলে সামাদ মিয়া (২৬), কাইয়ূম মিয়া (৩৮), মৃত আব্দুল ছত্তারের ছেলে আহাদ মিয়া (৫০) ও অজ্ঞাত আসামী পিকআপ চালক দলবদ্ধভাবে পরিকল্পনা করে হত্যা করে। কিন্তু সুমন মিয়া ও ফারুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। প্রতিদিন বাদীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তবুও তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। এমনকি প্রভাবিত হয়ে তাদেরকে চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়ার পায়তারা করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার এসআই রুমেন আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনা সঠিক তদন্তের স্বার্থে এসআই রুমেনকে পরিবর্তন করা, অন্য কোন সংস্থার দ্বারা তদন্ত কাজ করা, মামলার বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে সব আসামীর নাম চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত করা জোর দাবি জানান। না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নিহত বাছিতের বড় ভাই ও মামলার বাদী শাহীন মিয়া, বড় বোন রোজিনা বেগম, সুজিনা বেগম, বন্ধু রাকিব আহমদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুল আলম, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল বাছিত নিহত হন। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল বাছিত টেংরা গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় ১৭ এপ্রিল নিহত বাছিতের বড় ভাই শাহীন মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১৩ (তাং ১৭.০৪.২২ইং)। গত ২০ এপ্রিল হত্যা মামলার ২ নং আসামি ফারুক আহমদ ও ২৩ এপ্রিল প্রধান আসামী সুমন মিয়াকে (২৭) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রুমেন আহমদ তার উপর সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।
থানার অফিসার্স ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমেই অভিযাগপত্রটি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।