রেকর্ড দাবদাহের পর সিলেটে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। এতে কিছুটা কমেছে তাপমাত্রা। ঘরে-বাইরে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন মানুষ।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমেছে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এর আগে বৃহস্পতিবার সিলেটে ৬৬ বছরের সর্বোচ্চ ৩৮.৯ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর শুক্রবার ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ৭ জুলাই থেকে সিলেটে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে। ৭ থেকে ৯ জুলাই প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর ১০ জুলাই ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ১১ জুলাই ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১২ জুলাই ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও ১৩ জুলাই ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, অসহনীয় তাপমাত্রায় সিলেটের জনজীবনে নেমে আসে স্থবিরতা। মানুষের মাঝে বিরাজ করে চরম অস্থিরতা। প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়ে নি¤œ আয়ের শ্রমজীবীরা। অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়েন বৃদ্ধও অসুস্থরা। গরমে মাঝে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দেয় লোডশেডিং।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার দিনগত রাত থেকে শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে সিলেটে ১৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।’
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে যে ভ্যাপসা গরম পড়েছে তাতে এই হালকা বৃষ্টিতে কাজ হবে না। দরকার টানা ভারী বৃষ্টি। তিনি জানান, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এই কারণে গরমে ঘেমে গেলেও ঘাম শুকাচ্ছে না। ফলে ভ্যাপসা একটা ভাব তৈরি হচ্ছে। এ কারণে যতটুকু তাপমাত্রা বেড়েছে তার চেয়ে বেশি তাপ অনুভূত হচ্ছে।