মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ব্যক্তি মালিকানাধীন দলই চা-বাগানের মূল কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত নৈশপ্রহরী প্রসাদ পাশী ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে মারা যান। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে বাগানের দুই নৈশপ্রহরীসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২৮ জুন দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে দলই চা-বাগানের ৫টি অফিস কক্ষে ৫২ বছরের রক্ষিত সকল নথিপত্র পুড়ে যায়। তখন আগুনে দগ্ধ হয়ে বাগানের দুই নৈশপ্রহরী প্রসাদ পাশী (২৬) ও সৎ নারায়ন রাজভর (৩০) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট নগরীর রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে প্রসাদ পাশীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়। সেখানে ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রোববার (১০ জুলাই) ভোরে প্রসাদ মারা যান।
এরপর মঙ্গলবার রাতে কমলগঞ্জ থানার এসআই নিয়াজ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চা-বাগানের দুই নৈশপ্রহরী কামাল আলী ও মাহবুব এলাহী এবং বাগানের বাসিন্দা ভুট্টো মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বুধবার সকালে তাদের মৌলভীবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি নিহত প্রসাদ পাশীর পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
এ সময় উপস্থিত চা শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। এ ঘটনা যে বা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জন্য চা-বাগানের নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।
কমলগঞ্জ থানার এসআই নিয়াজ আহমেদ চা-বাগানের দুই নৈশপ্রহরীসহ ৩ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।