পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেট পুরাতন কারাগারের একদিকে প্রায় ৪০ ফুট দেয়ালের পাশে আরও একটি দেয়াল নির্মাণ হলো প্রকল্পকে চুরির প্রকল্প। সরকার যখন কৃচ্ছতা সাধন করছে তখন সরকারের টাকা জলে ঢালার চেষ্টা করছেন সিলেটের ডিআইজি প্রিজন।
এই প্রকল্পকে ফালতু প্রকল্প দাবি করে তিনি বলেন, প্রকল্প হলেই সেখান থেকে টাকা চুরি করা যায়। সে কারণে অহেতুক প্রকল্প দেখিয়ে ৭০ লাখ টাকা পাশ করানো হয়েছে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সিলেট নগরীর ধোপাদিঘি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারত সরকারের অর্থায়নে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ধোপাদিঘির পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। ওয়াকওয়ের পাশে ৫৪ ফুট খালি জায়গা। তার পরই পুরাতন কারাগারের ৪০ ফুট দেয়াল। সম্প্রতি ওয়াকওয়েতে আলোকবাতি লাগানোর সময় বাধা দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, এই ৪০ ফুট দেয়ালের পাশে আরও একটি দেয়াল নির্মাণের জন্য ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন তারা।
মূলত এ নিয়েই ক্ষুব্ধ হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার ধোপাদিঘি পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাতিল করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন তিনি।
জানা গেছে, ধোপাদিঘিরপাড়ে ভারত সরকারের অর্থায়নে নান্দনিক ওয়াকওয়ে তৈরি করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এটি গেল মাসে সরকারের দুই মন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার উদ্বোধন করেন। গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এই ধোপাদিঘির ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট খুলে ফেলে কারা কর্তৃপক্ষ। অনলাইন গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সিলেটজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ছুটে যান সিলেট সিটি করপেরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলররা। এ ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সেদিন বলেন, সকালে হঠাৎ করে কারা পুলিশ এসে ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট ভাঙচুর করে। এখানে কাজে থাকা শ্রমিকরা বিষয়টি আমাদেরকে জানালে দ্রুত চলে আসি। আমি বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি।
জানা যায় ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘি’ ওয়াকওয়ের যখন কাজ চলছিল, তখনও কারা কর্তৃপক্ষ নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ ডিআইজি প্রিজনকে সিলেটের উন্নয়নবিরোধী বলে আখ্যায়িত করে দ্রুত সিলেট থেকে বিদায় করার দাবি জানিয়েছেন।