সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও সম্প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলের মেয়াদের সীমাবদ্ধতার কথা জানতে পেরে শঙ্কায় পড়ে গেছে তারা। শিক্ষার্থীরা চান প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলের মেয়াদ ধরাবাধা সময়ে সীমাবদ্ধ না থাকুক।
স্নাতক শিক্ষার্থী আশহাব আতিক সংলাপ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল স্নাতক থেকেই অনেক বেশি প্রয়োজন। স্নাতক থেকে অনেক শিক্ষার্থী গবেষণা এবং প্রকাশনার কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। তাদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল অত্যন্ত জরুরি। আমার মনে হয়, প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল কমপক্ষে পাঁচ বছর চলমান থাকা উচিত। স্টুডেন্টশিপ শেষ হলে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল ব্যবহার করতে পারব না বিষয়টা এমন ধরাবাঁধা নিয়মে না রাখলে ভালো হয়। কারণ এটি একই সাথে আমার প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় বহন করে।
স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী তারেক হাসান বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলের মেয়াদ স্টুডেন্টশিপ থাকা পর্যন্ত এমন ব্যাপার জানতে পারলে আমি এটি ব্যবহার করতাম না। আমি বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছি, এখন আমার স্নাতকোত্তর ডিগ্রীও প্রায় শেষ, এই অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল বন্ধ করে দেওয়া হলে আমি খুবই বিপদে পড়ে যাব। তাছাড়া আমার বেশ কিছু গবেষণা পত্র প্রকাশনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল ব্যবহার করেছি। এই বিষয়টি শোনার পর আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। আমার মতে স্টুডেন্টশিপ শেষ হওয়ার পর অন্তত ৫ বছর এটি চলমান রাখা প্রয়োজন। আশা করি শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলের মেয়াদ কতদিন এমন প্রশ্নের জবাবে আইসিটি সেলের পরিচালক ড. খালিদ হোসেন বলেন, স্টুডেন্টশিপ শেষ হলেই প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলের মেয়াদ শেষ হবে।
স্বল্প সময়ে শিক্ষার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়তে পারে স্বীকার করে তিনি বলেন, এর মেয়াদের বিষয়টি আমি উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করবো।
এ পর্যন্ত কত জনকে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান করা হয়েছে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান করা হয়েছে। তবে নতুন আবেদনের মধ্যে ১৫টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ধীরে ধীরে আমরা স্নাতক শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান শুরু করবো। আমাদের পরিকল্পনা আছে ভর্তির পরপরই শিক্ষার্থীদের হাতে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল তুলে দেওয়া। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনের আওতায় আনার জন্য যে পরিকল্পনা ছিল তা কিছুটা দেরি হওয়ার পিছনে কারণ হল, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন ওয়েবসাইটের কাজ চলমান আছে। এটি হাতে পেলেই আমরা অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করতে পারব। এ সময় স্নাতকোত্তরের ফরম ফিলাপ ও সেমিস্টার ফি প্রদানসহ ভর্তি কার্যক্রম আগামী সেমিস্টার থেকে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা জানান তিনি।
সূত্র : নয়া শতাব্দী