সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের মনের ভাষা বুঝেন না। শুধু দুর থেকে দেখেই মানুষের কষ্ট বুঝা যায়না। কষ্ট বুঝতে হলে মানুষের কাছে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রী সদিচ্ছা থাকলে তিনি দুর্গত এলাকায় যেতে পারতেন, পানিবন্দি মানুষদের সাথে দেখা করতে পারতেন, কথা বলতে পারতেন। অন্তত সার্কিট হাউসে কয়েকজনকে নিয়েও কথা বলতে পারতেন। বানবাসীদের সাথে দেখা না করে তিনি সিলেটবাসীর সাথে উপহাস করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে জৈন্তাপুর প্রবাসী জাতীয়তাবাদী অনলাইন পরিষদের সহযোগিতায় ২৩০টি পরিবারকে নগদ অর্থ এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সংগঠন সমূহের আয়োজনে এবং জেলা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহ পরানের তত্বাবধানে ৬৫০ জনের মধ্যে তৈরি খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের টপ টু বটম পর্যন্ত বিএনপির সমালোচনা করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। বিএনপি বানবাসী মানুষদের জন্য কি করছে দুর্গত এলাকায় এসে দেখে যান। এসি রুমে বসে উপলব্ধি করতে পারবে না। জনগণ আর আপনাদের চায় না। তাই বিএনপির সমালোচনা বাদ দিয়ে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী, কামরুল হাসান শাহীন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুব আলম, জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন চেয়ারম্যান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহিবুল হক, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলম, আহাদ চৌধুরী শামীম, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব রায়হান হোসেন খান, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বাহারুল ইসলাম বাহার চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা আব্দুর রকিব মেম্বার, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, মধ্য জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবদল নেতা কাশেম আহমদ, জেলা ছাত্রদল নেতা আজমল হোসেন অপু।