সকালে বিদ্যুৎ ছিল না। শঙ্কা ছিল কুমারগাঁও বিদ্যুৎ গ্রিড উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেল কি-না। এটা বন্ধ হয়ে গেলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। খবর পেলাম বন্ধ হওয়ার খুব কাছাকাছি অবস্থায়।
ইঞ্চি কয়েক পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ভেতর পানি ঢুকে পড়বে। উপকেন্দ্র রক্ষায় বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীও কাজ করছে।
সকালে বিদ্যুৎ ছিল না। মোবাইল নেটওয়ার্ক আসছিল আর যাচ্ছিল। ইন্টারনেট সংযোগেরও একই অবস্থা। পুরোই বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম। এখনও শঙ্কা আছে এর। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, পানি বাড়ছে তাতে ভয়াবহ বিপদ সামনে।
সিলেট যেভাবে আছে সুনামগঞ্জ সেভাবে নেই। গতকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি। পানিবন্দি জীবন বেশিরভাগেরই। চাইলেও বের হতে পারছে না অনেকেই, আবার ঘরেও থাকার মতো অবস্থা নেই। কেবল মানুষ নয়, গবাদিপশুও বিপদের মুখে।
শেষ পর্যন্ত কী হবে কেউ জানে না। তবে জানে এক ভয়াল সময় পার করছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষ। এমন বন্যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪ সালে মানুষ জরুরি পরিষেবা-নির্ভর এতখানি ছিল না, এখন যতটা। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে জরুরি পরিষেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে মানুষ এমনিতেই মারা পড়বে।
শঙ্কা এমন যা ভয় জাগানিয়া, সিলেট-সুনামগঞ্জ সেই ভয়াল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে!
(ফেসবুক থেকে পাওয়া)