বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন। গত ১৫ জুন দুপুর থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের কেবিনে মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তবে তার মানসিক অবস্থা বরাবরের মতো শক্ত আছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তার মিডিয়া উইংয় সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তিনি মানসিকভাবে শক্ত আছেন, ভেঙে পড়েননি।’
শায়রুল কবির খান বলেন, ‘কেবিনে স্থানান্তরের পর পরিবার ও দলের কেউ-কেউ সাক্ষাৎ করেছেন বেগম জিয়ার সঙ্গে। কেবিনে নেওয়ার পর তিনি সাক্ষাৎগ্রহীদের বলেছেন, “চিন্তা করো না, দোয়া করো। আল্লাহই আমাকে রক্ষা করবেন।”’
উল্লেখ্য, গতকাল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, পরিবারের একাধিক সদস্য বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন।
শুক্রবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে খালেদা জিয়ার অন্যতম চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম স্বাভাবিকভাবেই খারাপ আছেন। কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকেরা এখনও স্বাভাবিক কাজ করতে এলাউ করছেন না। প্রতিদিন মেডিক্যাল বোর্ড বসছে, আজকেও বসবে।’
বেগম জিয়াকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে, এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এটা মেডিক্যাল বোর্ড ঠিক করবে।’
দলের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র জানিয়েছে, আরও কিছুদিন এভার কেয়ারে চিকিৎসকদের অধীনে থাকতে হবে খালেদা জিয়াকে।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বুকে ব্যথা নিয়ে গত ১০ জুন (শুক্রবার) গভীর রাতে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে এনজিওগ্রাম করে তার হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট পরানো হয়। একটি অপসারণ করা হলেও খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে আরও দুইটি ব্লক ধরা পড়ার কথাও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসা কার্যক্রম দেখছে।