রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রবাসী আয়ে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী। মহামারি ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করে তিনি।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে আমাদের রেকর্ড পরিমাণ প্রবাস আয় অর্জিত হয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধান শ্রমবাজারগুলোতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গতির অভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে শ্রমবাজার প্রভাবিত হওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে আমাদের প্রবাস আয়ে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি অত্যন্ত বেগবান হওয়ায় আমদানি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে আমাদের চলতি হিসাবের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, আমাদের স্থানীয় বাজারে মার্কিন ডলারের চাহিদা বাড়ায় মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরের ১ জুন পর্যন্ত ৬ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারে সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিগত বছরের অক্টোবর মাসে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে কমে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আমদানি সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা হবে আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।