হাজার বছর আগেকার দিনে ফল তাজা রাখা খুব কঠিন ছিল। সুদূর অতীতে প্রায় ৪ হাজার বছর আগে দুর্ঘটনাক্রমে আঙুর শুকিয়ে কিশমিশের আবিষ্কার হয়।
আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিশমিশ। মিষ্টিজাতীয় খাবারে বাড়তি স্বাদ এনে দিতে এর জুড়ি নেই। তাছাড়া স্বাদে ভরা কিশমিশ পুষ্টি ও শক্তির দারুণ উৎস।
কিশমিশ নিয়ে এত কথা বলার পেছনের রহস্যটা কী? কিছু একটা তো আছে নিশ্চয়ই। হ্যাঁ, আপনি জানলে অবাক হবেন- কিশমিশ নিয়ে একটি দিবস আছে। আর আজ সেই দিন। ঠিকই শুনেছেন। প্রতি বছরের ৩০ এপ্রিল কিশমিশ দিবস উদযাপন করা হয়।
জানলে অবাক হবেন, কিশমিশ দিবসের আছে দীর্ঘ ইতিহাস। ন্যাশনাল টুডের তথ্য অনুযায়ী, শতাব্দীরও বেশি সময় আগে কিশমিশ দিবসের প্রচলন হয়। ১৯০৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের কিশমিশ উৎপাদক সমিতি কিশমিশ দিবসের জন্য এই দিনটি নির্ধারণ করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বহুমুখী এই শুকনো ফলের প্রচার করা। তখন রেডিওতে, সংবাদপত্রে এবং এমনকি হাতে হাতে বিজ্ঞাপন ছড়ানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৯০৯ সালের ৩০ এপ্রিল প্রথম কিশমিশ দিবস উদযাপন করা হয়েছিল এবং আয়োজকরা সফল ছিলেন। কিশমিশ দিবসের সেই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে বিনামূল্যে বিভিন্ন রেসিপি সরবরাহ করা হয়েছিল। ফলে, কিশমিশ আরও জনপ্রিয় ও সুপরিচিত হয়ে ওঠে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্রাই ফ্রুটস হচ্ছে অন্যতম উপকারী খাবার । আমাদের পরিচিত কিশমিশ হচ্ছে সহজলভ্য একটি ড্রাই ফ্রুট ।
কিশমিশ খালি মুখে বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি পোলাও, পায়েসসহ বিভিন্ন রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন।
তাই দেরী না করে আজ কিশমিশ দিবসে চাইলে পছন্দমত উপায়ে কিছু কিশমিশ খেয়ে দিনটি উদযাপন করতে পারেন।