২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তে শীর্ষে জাপান, মৃত্যুতে ফ্রান্স

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৫৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৫০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে জাপানে এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।

এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ১৬ হাজার ২৫৯ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৯ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।

গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৩২ লাখ ১৬ হাজার ২৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৭ হাজার ৬২৭ জন মারা গেছেন।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ১৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৭১ লাখ ৩৩ হাজার ১৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৫৭ হাজার ৮২১ জন মারা গেছেন।

এ ছাড়া রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৫৭৮ জন এবং মারা গেছেন ৬১ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৪০৮ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। তাইওয়ানে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬১৯ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৭৪ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। ব্রাজিলে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৩ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।