পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে এখনও উত্তপ্ত গোটা ইরান। টানা ১০ দিনের বিক্ষোভে জ্বলছে তেহরান। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হবার খবর সরকারিভাবে প্রকাশ করা হলেও ইরান হিউম্যান রাইটস বলছে ৫৭ জনের মৃত্যুর কথা।
ইরানের সরকারি দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। কয়েকজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাড়া নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বিক্ষোভকারী।
তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে বিভিন্ন সূত্রের পক্ষ থেকে দাবি করেছে নরওয়ে ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) গ্রুপ।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে চলমান ইন্টারনেট সেবা সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়ায় প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আইএইচআর-এর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তেহরানের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা রোববার রাতে স্বৈরশাসকের মৃত্যু বলে চিৎকার করছেন। দেশটিতে এই বিক্ষোভ দমাতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেছেন, চক্রান্তকারীরা এই বিক্ষোভ উসকে দিচ্ছে। এছাড়া দেশটির সেনাবাহিনী বিক্ষোভ হটাতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
হিজাব ঠিকমতো না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহশা আমিনি। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। পরিবার ও বহু ইরানির দাবি, পুলিশের নির্যাতনে আমিনির মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে আমিনির মৃত্যুর পরেই হাজার হাজার মানুষ ইরানজুড়ে বিক্ষোভে নামে। দেশটির ৮০টির বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়ে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে শতশত বিক্ষোভকারী, অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের বাহিনী। তবে এরপরেও ইরানজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।