হাওরাঞ্চল সবসময় অবহেলিত : সুনামগঞ্জে পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমি ছোট একটি মন্ত্রণালয় নিয়ে কাজ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কোন জেলায় কি কাজ হচ্ছে তা আমার দপ্তরের সাইনবোর্ডে লেখা থাকে। আমাদের হাওর এলাকা সব সময় অবহেলিত। এখন একটি বড় কাজ হয়েছে যা হলো সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি হাওর এলাকার জন্য অনেক বড় মাইলফলক। উচ্চশিক্ষার যে স্বপ্ন সেটি এখন হাওরবাসী পূরণ করতে পারবে। ইতোমধ্যে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও কাজ হবে বলে আশা করি।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জেলা শিল্প কলা একাডেমিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না সেটা তাদের ব্যাপার। এটা আমরা বলতে পারবো না। তবে আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসুক। আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ প্রতিদিন এ নিয়ে অনেক কথা বলছেন, আপনারা নিশ্চয়ই শুনছেন। বিএনপি যদি দেশের সংবিধান মেনে থাকে, দেশের আইন মানে, তাহলে তাদের অবশ্যই নির্বাচনে আসা উচিত। নির্বাচন চর্চার বিষয়। মারামারি হানাহানির বিষয় নয়। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটাই জাতি আশা করে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, আরও আসবে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি মানুষ যাতে স্বস্তির মধ্যে থাকে। বিশ্বব্যাপী সংকট চলছে। এজন্য আমাদেরকে আরও সাশ্রয়ী হতে হবে।

রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি শেখর ভদ্রের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ্, সিলেট-সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, পুলিশ সুপার এহসান শাহ্, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।

সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে করোনা ও সুনামগঞ্জের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকি নিয়ে যারা দুর্গতদের পাশে ছিলেন তাদের মধ্যে ১৫ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।