দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারো হয়ে গেলো হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।
রোববার বিকাল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এবারের মেলায় বিক্রি হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকার মাছ ও এক কোটি টাকার খেলনা, কসমেটিক ও আসবাবপত্রসহ নানান রকমের জিনিষপত্র।
পইল নতুন বাজার খেলার মাঠে বিশাল জায়গাজুড়ে এই মেলাটি বসে। মূলত মাছের মেলা নামেই পরিচিত এই মেলাটি। মাঠের বেশিরভাগ জায়গায় ছিল মাছ। বাকি জায়গায় ছিল, কসমেটিক ও আসবাবপত্রসহ নানান রকমের জিনিষপত্র।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত মেলায় মাছ, খেলনা, কসমেটিক ও আসবাবপত্রসহ নানান রকমের জিনিষপত্র বিক্রি হয়। সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করতে কঠোর ছিল প্রশাসন। মেলায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, ব্রাক্ষনবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ এসেছিলেন।
আরও পড়ুন : মৌলভীবাজারে মেলায় ৫ কোটি টাকার মাছ বিক্রি
মেলায় দুই কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় ৪৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইর মাছ নিয়ে আসেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের জাবুর আলী। তিনি মাছটির দাম হেঁকেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে সেটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, চার শতাধিক মাছ বিক্রেতা মেলায় মাছ নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাঘাইড়, রুই, কাতল, বোয়াল, মৃগেল, শিং, মাগুর, কই, পাবদা, চিংড়ি, চিতল, কার্প, বাইমসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
মাছ বিক্রির করতে বানিয়াচং থেকে আসা আলম আলী জানান, প্রত্যেক বছরই তিনি পইলের মেলায় মাছ নিয়ে আসেন এবারও তিনি প্রায় দুই লক্ষ টাকার মাছ নিয়ে এসেছিলেন, তার কাছে ছিল ৫-৭ প্রজাতির মাছ।
পইল মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আয়কর আইনজীবি মো. মোস্তফা মিয়া জানান, মেলায় প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। রোববার বিকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত মাছ বিক্রি হয়।
তিনি জানান, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বাগ্মী নেতা বিপিন চন্দ্র পালের জন্মভূমি পইল গ্রামে প্রতিবছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই মেলাকে ঘিরে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর মেলাটি আয়োজন করা হয়নি। এজন্য এবার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি ছিল।