হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানগুলোতে ভেজাল সার ও কীটনাশক ওষুধ বিক্রি হচ্ছে অবাধে। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ ভেজাল রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো আবাদের কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদনে আশঙ্কা দেখা দেবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ কৃষক।
জানা যায়, বিভিন্ন দোকানগুলোতে নিম্নমানের ভেজাল সার এবং নামে ও বেনামি কোম্পানির কীটনাশক বিক্রি করছে। ধান ক্ষেতের আগাছা, ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমনে, বাড়তি ফলনের আশায় কম দাম ও নজরকাড়া মোড়ক দেখে এসব কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। শুধু তাই নয়, সারের নতুন বস্তা খুললে দেখা মিলে সারে মিশ্রিত পাথরের গুড়ো ও নড়ি বালু। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, আমরা নিযমিত বাজার মনিটরিং করছি।
উপজেলার নজরুল মিয়া নামে এক কৃষক জানান, গত ১৯ জানুয়ারী স্থানীয় বুল্লা বাজার থেকে একবস্তা টিএসপি সার ক্রয় করি আলমগীর মিয়ার দোকান থেকে । পরে জমিতে সার প্রয়োগ করার আগে বস্তা খুলে দেখি সারের সঙ্গে বেশির ভাগই মিশ্রিত রয়েছে নুড়ি বালু ও পাথরের গুড়োর মতো দানা। পরে দ্রুত সার দোকানিকে অবগত করলে কিছু করার নাই বলে জানান তিনি। এব্যাপারে সার দোকানী আলমগীর বলেন, কোম্পানীকে এ সার ফেরত দিব, যদি কোম্পানী এ সার পরিবর্তন করে দেয় তাহলে নজরুল মিয়া সার পাবে, নয়তো আমার কিছু করার নাই।
আরেক কৃষক জানে আলম জানান, ইরি ক্ষেতে আগাছা ও পোকা মাকড় দমনে সিনজেনটা নামক ঔষধ দিয়েছি কোনো কাজ হয় নি, ওল্ঠো ধান গাছের পাতা সাদা হয়েগেছে। বামৈ গ্রামের এক কৃষক জানান, মাত্রা অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেও ফসলের উন্নতি হচ্ছে না, টিএসপি সারটা ছিল চাকা বান্ধা, আর আমি দোকানীদের থেেক প্রায় বাকীবাবদ সার ক্রয় করি, দোকানী যে পরামর্শ দে সে পরামর্শে শুনে প্রতারণায় শিকার হচ্ছি বলে টের পাচ্ছি।
এদিকে একাধিক সার ব্যবসায়ী জানান, কীটনাশক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলে ওষুধে কাজ না হলে টাকা ফেরত। এবিশ্বাস করে আমরা কৃষকদের কাছে ঔষুধ বিক্রি করি।
লাখাই উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার বলেন, এ সারের নমুনা পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হবে। ভেজাল মিশ্রিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।