হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে অবৈধভাবে বাঁশ পুঁতে ও গাছের ডালপালা ফেলে জালের বেষ্টনী দিয়ে পোনা ও মা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রাজার বাজার এলাকা থেকে শুরু করে বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অবৈধ পন্থায় মাছ ধরা হয়। চলতি বছরও অন্তত দুই শতাধিক স্থানে নদীর দুই পাশের জায়গা দখল করে মাছ ধরা হচ্ছে। চারদিকে বাঁশ পুঁতে মাঝখানে গাছের ডালপালা ফেলে ওই স্থানে খাবার দিয়ে মা মাছসহ পোনা জড়ো করা হয়। পরে জাল দিয়ে চারদিক ঘিরে ফেলে মাছ শিকার করা হয়। ছোট ছিদ্রযুক্ত এসব জালে মা ও পোনা মাছসহ সব ধরণের মাছ আটকা পড়ে।
সদর উপজেলার লস্করপুর এলাকার কয়েকজন মৎস্যজীবী জানান, উন্মুক্ত নদীতে একসময় অনেক মাছ ছিল। কিন্তু পাঁচ-ছয় বছর ধরে নদীতে ঠিকমতো নামতে পারেন না তারা। যেখানে-সেখানে ঘের তৈরি করায় ঘেরের আশপাশে মাছ ধরতে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুই শতাধিক স্থানে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। কোথাও নদীর তীরবর্তী স্থানে, আবার কোথাও মাঝ নদীতে ডালপালা ও বাঁশ ফেলে ঘের তৈরি করা হয়েছে।
এসময় চুনারুঘাট উপজেলার রাজারবাজার ব্রিজ এলাকায় ঘের দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন একদল জেলে। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে তারা নদীতে মাছ ধরার কাজ করেন। ঘের দিয়ে ফাঁস জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা নিষিদ্ধের বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা।
এ বিষয়ে একজন ঘের মালিক বলেন, এলাকার অনেকেই ঘের তৈরি করে মাছ ধরে। আমিও তাই ঘের তৈরি করেছি। প্রশাসন থেকেও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। আমি সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বিষয়টি জানাবো।