পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। স্বনির্ভর দেশ গড়তে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে সিলেট নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ‘সার্টিফিকেট এওয়ার্ডিং সিরিমনি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির কারিগরি ও কর্মবান্ধব শিক্ষামুখী বিভিন্ন প্রোগ্রামের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠান নুতন ধারার কর্মবান্ধব শিক্ষাক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি আশাবাদী। তিনি বর্তমান সরকারের গণমুখী বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে কারিগরি ও কর্মবান্ধব শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে গড়ে তুলতে শিক্ষক-অভিভাবকগণের প্রতি আহবান জানান।
ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. আবু নাসের জাফর উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সৈয়দ মুদাসসের আলী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ড. নাহিদ ফেরদৌস।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির।
ইউনিভার্সিটির ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রধান সহকারী অধ্যাপক নুসরাত রিকজা ও শিক্ষার্থী মুনজারিন ইমাম চৌধুরীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ‘ম্যানেজিং ট্রাস্টি’ ও বিশিষ্ট শিক্ষা সংগঠক ড. আহমদ আল ওয়ালী।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সাবেক যুগ্মসচিব ও আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার সৈয়দ জগলুল পাশা।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ সহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, উনিশ একাত্তর সালের ৩ নভেম্বর ও এর পূর্বাপর সময়ে শাহাদাত বরণকারী নেতৃবৃন্দ এবং সিলেটের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহযোগী অধ্যাপক আবু ছয়ীদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর মমতাজ শামিম, ওসমানী নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ভিপি, সীমান্তিকের চেয়ারপার্সন মোঃ শামীম আহমদ, আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর মোহাম্মদ মাহমুদুল আলম মিয়া, সিএসই ডিপার্টম্যান্টের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল আনসারী, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা মোঃ মাজেদ আহমেদ, এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার রিফাতুল হোসেন রিপন, জনসংযোগ কর্মকর্তা হোসাইন আহমদ বাবুসহ আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও আরটিএম মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও কর্মকর্তাবৃন্দ।