ধর্মমন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সংসদ সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীকে বাংলাদেশ-সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ইন্টার পার্লামেন্টারী অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অনুবিভাগের পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসেইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ১৫ জন সংসদ সদস্য নিয়ে গঠিত এ মৈত্রী গ্রুপে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য সালমান ফজলুর রহমানকে সভাপতি এবং সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি সহ ১৫জন সংসদ সদস্যকে গুরুত্বপূর্ণ এ মৈত্রী গ্রুপে সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদের স্পীকারকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং ডেপুটি স্পীকারকে এ গ্রপের পৃষ্ঠপোষক করা হয়েছে।
গঠিত সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ বাংলাদেশ ও সৌদীআরবের সংসদ সদস্যদের মাঝে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন, সংসদীয় রীতিনীতি ও ভাবের আদান প্রদানে কাজ করবে। এছাড়া উভয় দেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো দৃঢ়করণে সহযোগিতা করবেন।
এদিকে জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের সাধারণ মানুষের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় আনন্দ-উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। উন্নয়ন বঞ্চিত অবহেলিত এ জনপদের মানুষ স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র ১ বারই মরহুম এম এ হকের মাধ্যমে মন্ত্রীত্বের স্বাদ পেয়েছিল। যার কারণে এ অঞ্চলে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। এবারে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপির মাধ্যমে সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে বলে সাধারণ মানুষ আশায় বুক বেধে বসে আছেন। যদিও মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তারপরও সরকার প্রধান শেখ হাসিনার সাথে তাঁর বেশ ভালো সুসম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপিকে অন্যান্য সংসদ সদস্যের চেয়ে আলাদা নজরে দেখেন। সংসদের অধিবেশন কক্ষে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী এমপিকে দিয়েছেন একেবারে সামনের সারির আসন। যেখানে ইতিপূর্বে জকিগঞ্জ-কানাইঘাট থেকে নির্বাচিত আর কারো ভাগ্যে এমন সম্মান জোটেনি।
সাধারণ মানুষ বলছেন, মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি সাধারণ যে কোনো মন্ত্রীর চেয়েও সরকার থেকে বেশী উন্নয়ন বরাদ্ধ নিজ এলাকার জন্য নিয়ে আসতে সক্ষম।