সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স ক্লাবের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

গত এক দশক থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশেপাশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রদান করে আসছে ‘পাঠশালা একুশ’ নামের একটি সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই সংগঠনটির প্রচেষ্ঠায় শতাধিক শিশু নিয়মিত পড়াশোনা করে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকাল ৪টায় পাঠশালা ২১ এর সহযোগিতায় অর্ধশত শিশুদের মাঝে খাতা, কলমসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্যা এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স ক্লাব।

অনুষ্ঠানে পাঠশালা একুশের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দ্যা এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স ক্লাবের সভাপতি রাহাতুল জান্নাত ও পাঠশালা একুশের সভাপতি মণি রহমান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্যা এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিকস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, পাঠশালা ২১ এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠকবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

শিক্ষা উপকরণ হাতে পেয়ে শিশুরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দ্যা এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স ক্লাবের সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে পাঠশালা একুশ।

দ্যা এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স ক্লাবের সভাপতি রাহাতুল জান্নাত বলেন, ‘দি এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স ক্লাব’ সবসময় শিক্ষা ও প্রগতির পক্ষে কাজ করে থাকে। আমাদের মূল কার্যক্রম একাডেমিক পড়াশোনাকে আরো প্রাণবন্ত করে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ভীতি কাটানো ও তাদের দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা একাডেমিকের বাহিরে এসে পাঠশালা একুশের কচি-কাঁচাদের শিক্ষাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে, শিক্ষা উপকরণের অপ্রতুলতা দূর করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চাই আজকের শিশুরা সহজলভ্য শিক্ষা উপকরণ পেয়ে পড়াশোনায় আরো আগ্রহী হোক এবং আনন্দময় পাঠদানে আলোকিত হোক।’

পাঠশালা একুশের সভাপতি মণি রহমান জানান, ‘দ্যা এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স ক্লাবের সাথে যৌথভাবে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার পাশাপাশি পাঠশালা একুশের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের শিক্ষার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে অভিভাবক সমাবেশ করা হয়। যেখানে শিশুদের শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়ার জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। এছাড়া পাঠশালা একুশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফলতা অক্ষুণ্ণ রাখতে শিক্ষকদের আরো ভালোভাবে পাঠদান করানোর আহ্বান জানান।’