সুনামগঞ্জে কমছে বন্যার পানি, জনমনে কিছুটা স্বস্তি

অতি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। দুপুরের পর থেকে কোনও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে পানি। অনেক সড়কে গতকাল হাটুসম পরিমাণ পানি থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ১ থেকে দুই ইঞ্চি পানি।

পানি কমেছে সুনামগঞ্জের পৌর শহরের তেঘরিয়া, আরপিন নগর, বড়পাড়া, ওয়েজখালি, মল্লিকপুর, ষোলঘর, নতুন পাড়া, মধ্যে বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায়।

কিছু সড়ক থেকে নেমে গেছে পানি। প্রায় পাঁচ দিন পর সুনামগঞ্জে দেখা মিলেছে সূর্যের। বিকেল ৪টার দিকে সূর্য ওঠতে দেখা যায়। রোদের তাপ কম থাকলেও সূর্যের দেখা মিলায় জনমনে কিছুটা বন্যা আতংক কমেছে।

এদিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমেছে।

গতকাল সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ তা নেমে দাড়িয়েছে ২৪ সেমিন্টিমিটার যা গতকালে তুলনায় কমেছে ১৮ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৫মিলিমিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুরমা নদীর পানি নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে দিরাই পয়েন্টে। এ ছাড়াও ছাতকের দিকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ৫৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ওঠেছেন ১৮ হাজার ৪২৯ জন বন্যার্ত মানুষ।

সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, পানি কিছুটা কমায় আতংক টা কিছুটা কমেছে। দ্রুত যদি পানি কমে তাহলে আমরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাব। আজকে বিকেলে কয়েক দিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, আজকের পর থেকে যদি নিয়মিত রোদের দেখা পাওয়া যায় তাহলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এ ছাড়াও যেহেতু ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কমেছে, আশা করা যাচ্ছে পানি কমে যাবে। আবার যদি ঐ  দিকে বৃষ্টিপাত বাড়ে তা হলে পরিস্থিতি আগের জায়গায় চলে যেতে পারে।