উৎসবমুখর পরিবেশে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক (২০২৫-২৬) নির্বাচন শুরু হয়েছে৷ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন চলছে ভোট গ্রহণ। পরে গণনা ও চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা। বিশেষ করে নতুন ও অপেক্ষাকৃত তরুণ ভোটারদের নির্বাচনকে ঘিরে আশা-প্রত্যাশার শেষ নেই। তবে সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ চান সকলের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি চৌকস নেতৃত্ব আসুক৷
নির্বাচনে ৮টি পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ৮ জন। বাকি ৪ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ প্রার্থী। এর মধ্যে সভাপতি পদে ফয়সল আহমদ বাবলু ও মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মিসবাহ উদ্দীন আহমদ ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সহসাধারণ সম্পাদক পদে অমিতা সিনহা, এমআর টুনু তালকুদার ও রবি কিরন সিংহ (বর্তমান) এবং সদস্য পদে তুহিন আহমদ, মো. মোহিদ হোসেন, মো. সোহেল আহমদ সুহেল (নবীন সোহেল), রনজিৎ কুমার সিংহ (বর্তমান), রাজীব আহমেদ রাসেল (রাজীব রাসেল) ও রায়হান উদ্দিন লড়াই করছেন।
এদিকে, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন পরিদর্শন করেছেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সিলেট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন পরিদর্শন করি। এবারও এসেছি। জনগণ যে ধরনের নির্বাচন প্রত্যাশা করে, সেই ধরনের নির্বাচন হোক এবার। যারা নির্বাচিত হবেন তারা যেন জাতির কথা বলেন, দেশের কথা বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সকল সংগঠনের বা এসোসিয়েশনের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। এখন তো আর সেই সময় নাই যে, ফলাফল আগেই নির্ধারণ হয় এবং তার পরে একটা ভোটের অনুষ্ঠান হয়। সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এবারে দেখলাম স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। যারা বিজয়ী হবেন তাদের জন্য শুভকামনা এবং যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কিন্তু নির্বাচিত হবেন না তাদের জন্যও শুভকামনা।’
নবনির্বাচিত কমিটির কাছে কী প্রত্যাশা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাই মিলেমিশে ভিন্ন মতের ধারক ও বাহক হবেন- এটিই সবার কাছে প্রত্যাশা।’
এর আগে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ. কে. এম সামিউল আলম, নির্বাচন কমিশনার মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সিলেট সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন সহসভাপতি (প্রথম) মনিরুজ্জামান মনির, সহসভাপতি (দ্বিতীয়) সজল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আনন্দ সরকার, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আহাদ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শাহজাহান সেলিম বুলবুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রেজাউল হক ডালিম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জামিল আহমদ (আহমেদ জামিল) এবং পাঠাগার সম্পাদক মো. আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর।
নতুন বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব দায়িত্বে আসার মাধ্যমে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে ঐতিহ্যের স্মারক এ সংগঠন- এমনই প্রত্যাশা ক্লাব সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের।