কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চল সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান বলেছেন,আগামীর কৃষি হবে আধুনিক এবং স্মার্ট কৃষি। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্মাট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ফলে আগামীতে খাদ্য শস্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সরকার কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না। পতিত জমিতে যে ধরনের ফসল উৎপাদন হয় সেই ধরনের ফসল উৎপাদন করতে হবে। আধুনিকভাবে চাষাবাদ করতে সরকার কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা করে যাবে। তিনি সিলেটের পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে সরকার গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি রবিবার (২৬ মে) দুপুরে দক্ষিণ সুরমার চন্ডীপুলে কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত পতিত জমিতে ফসল উৎপাদনে স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি ও গণমাধ্যম শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, শাবিপ্রবির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ রাব্বি। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, সুনামগঞ্জের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বিমল চন্দ্র সোম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ের কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমিনুর ইসলাম।
কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৯টি দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও কৃষক প্রতিনিধি এবং কৃষি তথ্য সার্ভিস অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।