সিলেটে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মাঝেও নিরব ঘাতক রোগ ডায়াবেটিসের সংক্রমণ বাড়ছে। জানা গেছে, সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ১০-১২ শতাংশই শিশু।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে ২ থেকে ৩ শতাংশ শিশু ও কিশোর রোগী থাকে।
২০১৮ সাল থেকে এই হাসপাতালে এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ হিসেবে একটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে প্রতিদিন ২০-২১ জন রোগী ভর্তি থাকেন।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক শাহ্ ইমরান বলেন, ডায়াবেটিস মানুষের আয়ু গড়ে সাত বছর কমিয়ে দেয়। কোনো ব্যক্তির আয়ুষ্কাল যদি ৭৭ বছর ধরা হয়, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তার ৭০ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বর্তমানে বড়দের পাশাপাশি শূন্য বয়স থেকে কিশোর এবং তরুণ বয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য সচেতনতার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সেটি সেরে ওঠা সম্ভব নয়। এসব ব্যক্তি চোখ, কিডনি, পায়ের সংক্রমণসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এজন্য ডায়াবেটিস হওয়ার আগে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে, যারা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে না। মানুষের কায়িক শ্রম বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়া দিনে অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটা-চলার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
এদিকে, সিলেটে ডায়াবেটিক সমিতি পরিচালিত সিলেট ডায়াবেটিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর বাইরে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ শিশুর ডায়াবেটিস রয়েছে।