সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ব্যস্ততম এলাকা আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার জুড়ে গেল মাস-তিনেক থেকে চরমভাবে বেড়েছে হকারদের দৌড়াত্ম্য। এমন বাস্তবতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সিমিতি সিলেট জেলা শাখা, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ও সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (১৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি পরিচালক ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সদস্য সচিব আব্দুর রহমান রিপন, মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, নগরীর রাস্তার দুই পাশ এখন হকারদের দখলে। হকাররা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছে নির্দ্বিধায়। যার ফলে একদিকে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় সময়ই হকাররা ফুটপাতে বসা নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটছে।
শুধু তাই নয়, নগরীর ফুটপাত দিয়ে নারীরাও চলতে গিয়ে ইভটিজিং শিকার হচ্ছেন। হকাররা দলভেদে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ করে চলেছে। এই অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কোন তৎপরতা না থাকায় ফুটপাত ও রাস্তায় হকারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নগরীর একদিকে যেমন সৌন্দর্য্য বিনষ্ট হচ্ছে, তেমনি আইনশৃঙ্কলারও অবনতি ঘটছে। যার ফলে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মার্কেটের সামনে ফুটপাত দখল করে রাখায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত করতে তৎপরতা চালিয়ে ছিলেন, কিন্তু নির্বাচনের পর থেকে এখন আর সেই তৎপরতা নেই। তাঁর দায়িত্ব আগামী নভেম্বর পর্যন্ত থাকলেও তিনি এখনই লাগাম ছেড়ে দেওয়ায় ব্যবসীরা চরম হতাশ ভোগছেন।
এদিকে বন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত রিকশা প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও এখন অবাদে এসব রাস্তায় প্রবেশ করছে রিকশা। তাই সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ এসব সমস্যা সমাধানে সিসিক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।