সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও চার দফা দাবিতে দিনভর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল সিলেট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকেই মাঠে ছিল বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিকেলে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে সমাবেশ করেন তারা। এর আগে সকাল থেকে নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, রিকাবীবাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে চৌহাট্টায় জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে শত-শত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে নানা ধরনের শ্লোগান দিচ্ছেন। মূলত চার দফা দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল পালন করছেন আন্দলনকারী শিক্ষার্থীরা। নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে সর্বাত্নক কর্মসূচী পালন করেন তারা।
সমাবেশে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫টি বছর শোষণে করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। দীর্ঘ ১৫ বছরে অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে এই সরকার। এ দেশের ছাত্র-জনতা ও দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। শেখ হাসিনার উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন থামবে না।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও সিলেটের প্রধান সমন্বয়ক শাবিছাত্র আসাদুল্লাহ আল-গালিব, সিলেটের অন্যতম সমন্বয়ক শাবিছাত্র মো. গোলাম মর্তুজা সেলিম ও দেলওয়ার হোসেন শিশির, সিলেটের সহ-সমন্বয়ক শাবিছাত্র ফয়ছল হোসেন, শাবি সমন্বয়ক হাফিজুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব সিলেট ভয়েসকে বলেন, ’কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতার বিচারের দাবিতে শেখ হাসিনার ফাঁসিসহ চার দফা দাবিতে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমাদের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান। আগামীকাল হয়তোবা অন্যকিছু থাকবে যেটা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি।‘
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান (পিপিএম) সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’