বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পমাধ্যম অ্যাক্রোবেটিক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে এই অ্যাক্রোবেটিক শিল্প ও শিল্পীর পরিচর্যা করে আসছেন। তৈরি করেছেন চৌকস অ্যাক্রোবেটিক দল।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দলটি বছরব্যাপী ৬৪ জেলায় পর্যায়ক্রমে তাদের অসাধারণ নৈপূণ্য ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনের মাধ্যমে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন দর্শক মনে। সিলেটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চোখ ধাঁধানো অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী দেখে অভিভূত সিলেটের দর্শক।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের সহযোগিতায় চীনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশ অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় মঙ্গলবার (০৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমি মিলনায়তনে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
মুহুর্মুহু করতালিতে প্রশংসিত হয় ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনটি। চোখ ধাঁধানো ও রোমাঞ্চকর পরিবেশনায় মুগ্ধ আগত দর্শক। এ জাতীয় আয়োজন সুস্থ, সুন্দর ও সংস্কৃতিবান্ধব জাতি বিনির্মাণে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আগত দর্শকদের সকলেই মনে করেন।
জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীণ সাংবাদিক আল আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফৌজিয়া আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দলের সমন্বয়কারী শিশির রায়-এর ধারা বর্ণনায় পরিবেশিত পুরো অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীটি উপভোগ করেন আগত শিশু, কিশোর, তরুণসহ সকল বয়সের সুধী দর্শক।