সিলেটে ঐতিহ্যবাহী পুুতুল নাচে মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা

‘শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

সংস্কৃতির সবচাইতে শক্তিশালী মাধ্যম হলো লোকসংস্কৃতি। লোকশিক্ষার অন্যতম বাহন এই পুতুলনাট্য। যুগে যুগে যা তার উপস্থাপনা ও প্রয়োগ শৈলীর মাধ্যমে বিষয়বস্তু, সময় এবং পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করে মানুষের আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের সামষ্টিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশব্যাপী ৩০টি পুতুলনাট্য দলের পরিবেশনায় ১২০টি স্থানে গণজাগরণের পুতুলনাট্য উৎসব ২০২৩ আয়োজন করেছে।

এরই অংশ হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের ব্যবস্থাপনায় সোমবার (০৯ অক্টোবর) সিলেটের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুতুলনাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অডিটোরিয়ামে এবং বেলা সাড়ে ১২টায় সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে পুতুল নাট্য প্রদর্শিত হয়। শিক্ষার্থীদের উচ্ছাস, করতালি আর ভালো লাগার মুগ্ধতায় পূর্ণতা পায় প্রদর্শনী দুটো। এ আয়োজনে হলভর্তি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি যেন জানান দিল ঐতিহ্যবাহী এ সংস্কৃতিকে আমরা পরিচর্যা, ধারণ, লালন ও সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

প্রদর্শনী দুটির পূর্বে জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম এবং সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির খান। শিশু, কিশোর, তরুণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ মনে করেন এ জাতীয় আয়োজন আরো বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন।