সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় প্রায় ৯ঘন্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) রাত ৩টার দিকে লাইনচ্যুত দুইটি বগি উদ্ধার করার পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (২৬জুন) সন্ধ্যা পৌণে সাতটার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর এলাকায় একটি ব্রীজ পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে কুলাউরা থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে কয়েকটি বগি কুলাউড়া স্টেশনে নিয়ে যায় এবং সিলেট থেকে একটি ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও কয়েকটি বগি সিলেটে নিয়ে আসে। পরে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারে কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, প্রায় ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্কভাবিক হলেও শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। রাতের ট্রেন ছেড়ে গেছে সকালে।
সিলেট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত ১০ টায় উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা ছেড়ে গেছে রাত ৩ টা ২০ মিনিটে। রাত সাড়ে ১১টায় উপবন এক্সপ্রেস ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে গেছে সকাল ৭ টায়। অন্যদিকে, সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯ টা পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি কালনী এক্সপ্রেস।
এদিকে, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। স্টেশনে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে অনেকেই যাত্রা বাতিল করেছেন। অনেকে আবার অতিরিক্ত ভাড়ায় বিকল্প যানবাহনে করে গন্তব্যে চলে গেছেন।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, রাত তিনটার দিকে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।