সিকৃবিতে হয়ে গেল ফিশারিজ কার্নিভাল

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্রসমিতির আয়োজনে হয়ে গেলো ‘ফিশারিজ কার্নিভাল’। দিনব্যপী কার্নিভালের উদ্বোধন করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্র সমিতি বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন শুরু করে। র‍্যালিটি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মূল ফটক হয়ে বৈশাখী চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।

দিনটি উদযাপন করতে অনুষদটির শিক্ষার্থীরা বাহারি সাজে রঙিন মাছের ফেস্টুন ও মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে র‍্যালিটিতে অংশ নেয়।

র‍্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

র‍্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা সামসুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম সোহাগ, ফিসারিজ কার্নিভাল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম.এম. মাহবুব আলম, অন্যান্য শিক্ষক, অনুষদীয় ছাত্র সমিতির সহসভাপতি আল ইমরান ত্বহা, সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান প্রমুখ।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় ও অনুষদটির ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডের সভাপতিত্বে র‍্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ সত্যিকার অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করছে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

এছাড়াও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য সাঁতার প্রশিক্ষণের পরিকল্পনার কথা জানান উপাচার্য।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অনুষদীয় ছাত্র সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে চলেছে অনুষদটি। তারই অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম স্থানে অবস্থান করছে অনুষদটি।

অনুষদীয় ছাত্র সমিতির সহসভাপতি মো. আল ইমরান ত্বহা বলেন, দিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে আনন্দ র‍্যালি ও সন্ধ্যা ছয়টায় দ্বিতীয় ধাপে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। ত্বহা বলেন, ‘এই দিনটি আমরা অন্যভাবে উদযাপন করার চেষ্টা করি। সকলের সহযোগীতায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে চাই।’