ভারতের সিকিমে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। এদের মধ্যে ৭ সেনাসদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান জোরদার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় তিস্তা উপত্যকার অন্তত ১ হাজার ১৭৩টি বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে এবং উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ২ হাজার ৪২৩ জনকে।
গত মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সিকিমের বিভিন্ন এলাকায়। টানা বর্ষণে বুধবার ভোরের দিকে সিকিমের দক্ষিণ লোকন হ্রদের পানি উপচে তিস্তায় মিশে ব্যাপক বন্যা শুরু হয় উপত্যকা অঞ্চলে।
পাহাড়ি ঢল ও বন্যার কারণে রাজ্যের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ায় সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি পর্যটক। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজে করে তাদের সরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এই মুহূর্তে সেটি একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।
কারণ ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর ইন্ডিয়া মেটেওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট তার সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আরও ৫ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে সিকিমের উঁচু ও পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে। সিকিমের বেশিরভাগ পর্যটন স্পট এসব পার্বত্য এলাকাতেই। মেঘলা ও বর্ষণমুখর আবহাওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলে হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজ চালানো ঝুঁকিপূর্ণ।
বন্যা উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকার লোকজন ও পর্যটকদের উদ্ধার, ত্রাণ তৎপরতা ও পুনর্বাসন নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাজ্যপ্রশাসনের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। সেই বৈঠকে যত দ্রুত এবং যত খানি সম্ভব সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম