রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসকের মুক্তির দাবি জানিয়েছে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ সহ সর্বস্তরের চিকিৎসকেরা।
একইসঙ্গে ডা. মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশনার নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
রোববার (১৬ জুলাই) সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিতিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১নং গেইটে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে অভিযোগ প্রমাণের আগেই ডা. মুনা ও শাহজাদীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহ ফাহমিদা সিদ্দিক পপির পরিচালনায় ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কোনো মৃত্যুই কারো কাম্য নয়। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের যদি কোন অপরাধ থেকে থাকে সেটাও যেন বিচারের আওতায় আনা হয়।
তিনি বলেন, বিনা বিচারে গ্রেপ্তার চিকিৎসকদের জামিন না হওয়া দুষ্ট লোকদের সুযোগ করে দেওয়ার শামিল। তাই চিকিৎসকদের জামিন ও মামলা প্রত্যাহার করা হোক। প্রমাণের আগেই তাদের হয়রানি বন্ধ করা হোক।
এসময় তিনি সারাদেশে আগামীকাল সোমবার থেকে দুদিন প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকবে বলে জানান। তবে জরুরী সেবা চালু থাকবে ও জরুরী চিকিৎসা সেবা হাসপাতালে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিনা বিচারে চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের মত ঘটনায় সংকট বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, জটিল রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে যদি চিকিৎসকরা হামলা-মামলার শিকার হয়, তাহলে চিকিৎসকরা আর জটিল রোগীর চিকিৎসা করতে সাহস পাবে না। এতে রোগীদের ভোগান্তি এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মজিবুল হক, অবস ও গাইনী বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. নাসরিন আক্তার, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. আশিক আনোয়ার বাহার, কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মোখলেসুর রহমান, রক্ত পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এফ এম এ মুসা, গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. জাহাঙ্গীর আলম, অবস ও গাইনী বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. জামিলা খাতুন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. আজিজুর রহমান রুমান প্রমুখ।